Sunday 17 February 2019

বৈদেশিক সম্পর্ক

 বৈদেশিক সম্পর্ক
গত ২৫-২৬ মে ২০১৮ তারিখে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে ভারতের পরিশ্চমবঙ্গ সফর করেন। সফরকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের শান্তি নিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের অর্থায়নে নবনির্মিত ‘বাংলাদেশ ভবন’-এর উদ্বোধন করেন।

এর পাশাপাশি তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত সমাবর্তনে 
হিসেবেও যোগাযোগ করেন।

সফরকালে আসানসোলে অবস্থিত কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় এক বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লিটারেচার (ডি.লিট) উপাধিতে ভূষিত করে।

ভারত থেকে ভেড়ামারা-বহরমপুর গ্রিডের মাধ্যমে ও ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বর্তমানে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে।

২০১৭ সালে শুধুমাত্র সৌদি আরবে রেকর্ড সংখ্যক ৫৫১,৩০৮ জন বাংলাদেশী নিয়োগলাভ করেছে।

জিসিসিভূক্ত অন্যান্য দেশেও কর্মসংস্থানের উর্ধ্বমূখী ধারা অব্যাহত থাকার পাশাপাশি জর্ডান, ইরাক এবং লেবাননেও আমাদের শ্রমবাজার সম্প্রসারিত হয়েছে।

 ২০১১ সালে বাংলাদেশ ও ভারত-দু’দেশের সরকার কর্তৃক স্থল সীমানা চুক্তি

১৯৭৪-এর প্রটোকল স্বাক্ষর এবং ২০১৫ এ স্থল সীমানা চুক্তির অনুসমর্থন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদীর্ঘ প্রচেষ্টারই সুফল। ইন্সট্রুমেন্ট অব রেটিফিকেশন এবং লেটার অব মোডালিটিস স্বাক্ষরের মাধ্যমে তৎকালীন ১১১টি ভারতের ছিটমহল বাংলাদেশের এবং আমাদের ৫১টি ছিটমহল ভারতের অংশ হয়ে যায়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর বাংলাদেশ সফর ৬-৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ বাংলাদেশ সফর করেন। এই সফরের সবচেয়ে আলোচিত ল্যান্ডমার্ক সাফল্য হচ্ছে ১৯৭৪ সালের ঐতিহাসিক স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন যার ফলশ্রুতিতে ভারতের কংগ্রেসের উভয় কক্ষ অর্থ্যাৎ লোকসভা ও রাজ্যসভায় চুক্তির রেটিফিকেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী’র বাংলাদেশ সফর ৬-৭ জুন ২০১৫ বাংলাদেশ সফর করেন। এ সফরে সর্বমোট ২২টি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়I

বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ফুলবাড়ীতে (বাংলাবান্ধার বিপরীতে) ইমিগ্রেশন সুবিধা চালু করা হয়। স্থল শুল্ক স্টেশন/স্থল বন্দর এবং অন্যান্য ব্যবসা-বাণিজ্যিক অবকাঠামো উন্নয়নে দু’দেশ ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আঞ্চলিক ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পক উন্নয়ন এসকল পদক্ষেপসমূহ নিঃসন্দেহে ভূমিকা রাখবে।

গত কয়েক বছরে স্বাক্ষরিত দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি, অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল রুট সম্পর্কিত প্রটোকল, ঢাকা-গৌহাটি-শিলং এবং কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা বাস সার্ভিস, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারকসহ বিভিন্ন চুক্তি দেশ দু’টির আন্তঃযোগাযোগ সম্প্রসারণে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে। মৈত্রী এক্সপ্রেসের ঢাকা ও কলকাতায় প্রান্তীয় কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালু হয়েছে। খুলনা-কলকাতা ট্রেন সার্ভিস চালু হয়েছে। 

গত ২৫-২৬ মে ২০১৮ তারিখে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে ভারতের পরিশ্চমবঙ্গ সফর করেন। সফরকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের শান্তি নিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের অর্থায়নে নবনির্মিত ‘বাংলাদেশ ভবন’-এর উদ্বোধন করেন।

এর পাশাপাশি তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত সমাবর্তনে ‘হিসেবেও যোগাযোগ করেন।

সফরকালে আসানসোলে অবস্থিত কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় এক বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লিটারেচার (ডি.লিট) উপাধিতে ভূষিত করে।

ভারত থেকে ভেড়ামারা-বহরমপুর গ্রিডের মাধ্যমে ও ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বর্তমানে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে।



২০১৭ সালে শুধুমাত্র সৌদি আরবে রেকর্ড সংখ্যক ৫৫১,৩০৮ জন বাংলাদেশী নিয়োগলাভ করেছে।



জিসিসিভূক্ত অন্যান্য দেশেও কর্মসংস্থানের উর্ধ্বমূখী ধারা অব্যাহত থাকার পাশাপাশি জর্ডান, ইরাক এবং লেবাননেও আমাদের শ্রমবাজার সম্প্রসারিত হয়েছে।



মানব পাচারের শিকার বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্রুততম সময়ে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সরকারের বলিষ্ঠ কূটনৈতিক কার্যক্রম আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।

এসময় বিভিন্ন দেশের জলসীমায় উদ্ধারকৃত ২৫৫০ জনসহ লিবিয়া, থাইল্যান্ড ও ইয়েমেন
থেকে প্রায় ৪০ হাজার বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

এপ্রিল ২০০৯ সালে সৌদি আরবের প্রয়াত বাদশা আব্দুল্লাহ এর আমন্ত্রণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরব সফর করেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফর (জুন ২০১৬), সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর (অক্টোবর ২০১৪), কাতার সফর (২০১২, ২০০৯), কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর (মে ২০১৬), ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর (ফেব্রুয়ারি ২০১৭) এ সকল দেশের সাথে আমাদের সম্পর্কের নবতর অধ্যায়ের সূচনা করার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে গতিশীলতা বৃদ্ধি করেছে।

এই সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুসমূহের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, জনশক্তি ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত ৬২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। ২০০৯- ২০১৭ মেয়াদে মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সাথে ৬২ টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

 ২০১৪ ও ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফর করেন। ২০১৪ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্ক এক নতুন পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। 

তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির দশ বছর

0 comments :

Post a Comment

 

Contact Us

Name

Email *

Message *

Pageviews from the past week

They Love Us!

Protected by Copyscape

Like Us On Facebook